ট্রেসি কে. স্মিথ’র জন্ম ১৯৭২ সালের ১৬ এপ্রিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে। কিন্তু, তিনি বেড়ে ওঠেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি ‘পোয়েট লরিয়েট অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ হিসেবে কাজ করেছেন । স্মিথ পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি ১৯৯৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৯৭ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ে এমএফএ অর্জন করেন। স্মিথ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এ যাবৎ তাঁর প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা চারটি। ‘লাইফ অন মার্স’ নামক কবিতার বইয়ের জন্য তিনি ২০১১ সালে পুলিৎজার প্রাইজ পেয়েছেন।
ভালো জীবন টাকাকড়ি নিয়ে কথা বলার সময় কিছু লোক এমনভাবে বলে যেন টাকাকড়ি কোনো রহস্যময় প্রেমাস্পদ, যে দুধ কিনবে বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছে, আর ফিরেই আসেনি এসব আমাকে স্মৃতিকাতর করে তোলে বছরের পর বছর আমি শুধু কফি আর রুটি খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছি শুধু ক্ষুধা আর ক্ষুধা কাছে-ধারে কুয়ো নেই বলে যে দূর গ্রামে যেত পানি আনতে সেই মহিলার মতো, মাইনে পাবার দিনে হেঁটে হেঁটে কাজে যেতাম তারপর আর সবার মতোই রেড ওয়াইন আর চিকেন-রোস্ট খেয়ে পার করেছি দুই-এক রাত। ব্যাটন রুঝে অশান্তি কালির মতো কালো রক্তে টিকে আছে আমাদের শরীর । ফুটপাতের ফাটলে রক্তের পুকুর। শুনতে যেমনই লাগুক, ভালোবাসা তো এক ভাষা, যে ভাষায় সবাই, প্রায় সবাই কথা বলে কিন্তু খুব কম লোকই সে ভাষার চর্চা করে। এমন কি কালো বর্মের পুরুষরা, হাতকড়া ও চাবির ঝনঝনানিতে ভরা, তারা কী আর ফলাচ্ছে যদি প্রেমের ব্লেড হৃদয়ের চেনা মাংসকে কাটতেই না পারে? আমরা দেখছি আর শোক করছি। আমরা ঘুমাই, নাড়ি, খাই। ভালোবাসা: হৃদয়টি কেটেকুটে, ধুয়ে সাফ করা। ভালোবাসা: একপ্রকার নগ্নই আবহমান রাস্তায়, অন্যরকম বাতাস এসে স্কার্ট বেসামাল করে দেয়। ফ্লোরেস-মহিলা ক্ষুদ্র মানুষের একটি প্রজাতি আবিষ্কৃত হয়েছে, যারা মাত্র ১৮,০০০ বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার বিচ্ছিন্ন ফ্লোরে দ্বীপে বাস করত। গবেষকরা এখন পর্যন্ত মাত্র এক মিটার লম্বা আটজন ব্যক্তির দেহাবশেষ খুঁজে পেয়েছেন, যাদের খুলি ছিল আঙুরের মতো । বিস্ময়কর ছোট মানুষেরা… হাতিয়ার তৈরি করেছে, ছোট হাতি শিকার করেছে এবং একই সাথে এই অঞ্চলে উপনিবেশ স্থাপনকারী আধুনিক মানুষদের সমকালে বসবাস করেছে।—ন্যাচার, অক্টোবর ২০০৪ আলো: টেনে তোলা, আমি আমার ক্ষীণ শরীরকে টেনে বাড়াই। রঙ: শূন্য দুই চোখের পিছনে দিনের বর্ণচ্ছটা। শব্দ: পাখিরা লোভী ঠোঁট দিয়ে বীজ ও শরীরকাণ্ড ঠোকরায়, সেই স্তুপের ওপর খোসা ছড়িয়ে দেয় যেখানে আমার স্বপ্ন এবং ভালোবাসায় ভরা জীবন। এসবই আমাকে প্রতিদিন জাগিয়ে তোলে। পায়ের চিহ্নগুলি তাগড়া জানোয়ারদের অনুসরণ করে সেখান পৌঁছায় যেখানে গিয়ে তারা মিশে গেছে পালে। শিকার: খিদার বিরুদ্ধে নাচ। সঙ্গীত: ভোজ এবং ভয়। এই দ্বীপ আমাদের হাতে চলে আসে । গাছ আমাদের আকাশকে ঢেকে রাখে। তারা ফরফর করে উঠছে, আনন্দে, লালসার সমান সবুজ কণ্ঠে। অন্ধকারের সরীসৃপগুলি রাতকে তাদের লেজ দিয়ে প্রসারিত করে। ঢেউয়ের উন্মাদনা সেই দিগন্তকে আগলে রাখে যাকে আমার গ্রাস করবো। হাত-পা বিপর্যস্ত করে আমি ঝাঁপ দিতে চাই, ভেসে যেতে চাই। আমি টিকে থাকতে চাই একটি অন্ধকার নক্ষত্রের মতো।
১৯৮৩ সালে উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলায় জন্ম আল ইমরান সিদ্দিকী’র। বর্তমানে তিনি স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস করছেন। আল ইমরান সিদ্দিকী’র প্রকাশিত কবিতার বইগুলো হলো—কাঠঠোকরার ঘরদোর (২০১৫), ধুপছায়াকাল (২০১৮) ও গোধূলির প্যানোরামা ( ২০২০)। তিনি শিল্পসাহিত্য বিষয়ক ওয়েবম্যাগ ‘নকটার্ন’র সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত।