পূর্ব আর পশ্চিমের দুনিয়ায় নৈঃশব্দ্যের তরজমা হয়েছে নানা বাঁক ও বাক প্রতিমায়। লুডভিগ ভিটগেনস্টাইন নীরবতায় অর্থের অতল বাঙ্ময়তা দেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথের বর্ণনা বিন্যাসে, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি শব্দের তুলনায় নৈঃশব্দ্যকে এগিয়ে রেখেছিলেন, বলেছিলেন নীরবতা সরবতার তুলনায় অধিকতর শক্তিকে পুনর্গঠিত হতে দেয়; কিন্তু সবাইকে ডিঙিয়ে প্রাচ্যের লালন সাঁইজি নৈঃশব্দ্যের মোরতুবা আঁকতে রচনা করেছিলেন এক ভয়াল সুন্দর পদের খনন- কথার আত্মা কথাহীনতা, আমরা তা সেদিন বুঝবো- যেদিন নিঃশব্দ্য শব্দরে খাবে। এখানে আছে ভিনভাষার ৫টি কবিতা- যারা খেলেছে কথার অধিক কথাহীনতা নিয়ে, জীবনের অধিক মৃত্যুর মহিমা যাদের কারবার।
Category: অনুবাদ
জন অ্যাশবেরি’র কবিতা :: ভাষান্তর: লায়লা ফারজানা
অ্যাশবেরি বলেছিলেন, “শিল্প তখনি সর্বোত্তম, যখন সে চেতন এবং অবচেতনের যৌথ ফসল” । পরাবাস্তববাদী কবি অ্যাশবেরিকে তার সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী আমেরিকান কবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বেঁচে থাকতে অ্যাশবেরি কুড়িটিরও বেশি কবিতার সংকলন প্রকাশ করেছেন এবং জিতে নিয়েছেন কবিতার জন্য প্রায় প্রতিটি সম্মানিত আমেরিকান পুরস্কার, যার মধ্যে ১৯৭৬ সালে “Collection Self-Portrait in a Convex Mirror’র জন্য পুলিৎজার পুরস্কারও রয়েছে। উত্তর-আধুনিক জটিলতা এবং অস্পষ্টতার জন্য খ্যাত অ্যাশবেরির কাজ এখনও বিতর্কিত।
অ্যাশবেরি নিউইয়র্কের রোচেস্টারে জন্মগ্রহণ করেন। হার্ভার্ড এবং কলম্বিয়া-স্নাতক অ্যাশবেরি ১৯৫৫ সালে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে ফ্রান্সে যান, পরবর্তী দশকের বেশিরভাগ সময় তিনি সেখানেই বসবাস করেন। অ্যাশবেরি’র প্রথম দিককার কাজে ওয়ালেস স্টিভেনস, বরিস পাস্তেরনাক এবং বহু ফরাসি পরাবাস্তববাদী কবি এবং অডেনের প্রভাব দেখায়। অ্যাশবেরির ‘অ্যাভান্ট-গার্ড’ কবিতা সত্তরের দশকে ক্রমবর্ধমান সমালোচনামূলক স্বীকৃতি লাভ করে এবং অ্যাশবেরিকে একজন অস্পষ্ট অ্যাভান্ট-গার্ড পরীক্ষাবাদী থেকে আমেরিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবিতে রূপান্তরিত করে। তাঁর প্রশংসিত কাজগুলির মধ্যে ‘নোটস ফ্রম দ্য এয়ার: সিলেক্টেড লেটার পোয়েমস’ (২০০৭), আন্তর্জাতিক গ্রিফিন কবিতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিল; ‘সেল্ফ-পোর্ট্রেট ইন এ কনভেক্স মিরর (১৯৭৫) তিনটি প্রধান আমেরিকান পুরস্কার লাভ করে – পুলিৎজার, ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড এবং ন্যাশনাল বুক ক্রিটিক সার্কেল অ্যাওয়ার্ড- এবং তাঁর প্রথম দিককার বই, ‘সাম ট্রিস’ (১৯৫৬), ডব্লিউ. এইচ. অডেন দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিল ‘ইয়েল ইয়ংগার পোয়েটস সিরিজ’-এর জন্য। ‘আমেরিকান লাইব্রেরি’ ২০০৮ সালে তাঁর সংগৃহীত কবিতার প্রথম খণ্ড প্রকাশ করে।
অন্য ভাষার কবিতা :: মোসাব্বির আহে আলী

কবিতা আর গানের মধ্যে একটা স্পষ্ট ব্যবধান আছে। গানের বাণী না হলেও অন্তত এর সুর সর্বব্যাপী, বুঝতে কোন ভৌগোলিক ও ভাষিক প্রস্তুতি লাগে না, সবার কানেই ঝংকার তৈরি করে, অন্যদিকে কবিতাকে অবশ্যই বোধগম্য হতে হয়। এবং তা স্পষ্টভাবেই। নাহলে এর সঘন পরিমিত শরীরের যে গুঢ় আহ্বান বা অর্থ তা বোধের অধীন হয় না। ফলে কবিতার বাণী যদি অন্য ভাষায়, অন্য দেশ ও সংস্কৃতির মোড়কে লুকনো থাকে, তাহলে তা একজন ভিন ভাষার পাঠক নিজের ভাষায় বুঝতে চায়। আর সেজন্যই ভাষান্তরের প্রসঙ্গ আসে। এখানে আমি আমাদের সমকালে (দ্বিতীয় দশকে) কয়েকজন ভিনদেশী তরুণের কবিতা বাংলায় তরজমা করার চেষ্টা করলাম। একই সাথে পঞ্চদশ শতাব্দীতে একজন চীনা রাজার( পরবর্তীতে নির্বাসিত) একটি ক্লাসিক কবিতার বাংলায়নও যুক্ত করা হলো। উল্লেখ্য, প্রতিটি কবিতায় একটি সাধারণ বিষয়ের অবতারণ আছে, আর তাহলো মিউজিক বা গান। এই কবিতাগুলো একসাথে জড়ো করার এটিই মূল কারণ ]
ঐতিহ্য ও ব্যক্তিপ্রতিভা : টি এস এলিয়ট :: অনুবাদ: হাসানআল আব্দুল্লাহ
১. ইংরেজী ভাষায় লেখালেখিতে আমরা ঐতিহ্যের কথা খুব একটা উল্লেখ করি না, যদিও ব্যবহারিক ভাবে এর অনুপস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশে প্রায়শই এর কথা তুলি। আমরা নির্দিষ্ট করতে পারি না “কার ঐতিহ্য” বা “কোন ঐতিহ্য;” কিন্তু সর্বতভাবে কারো কারো কবিতার ক্ষেত্রে এমন বিশেষণ ব্যবহার করি যে তিনি “ঐতিহ্যিক” বা “ঘোর ঐতিহ্যিক।” এ-ও সম্ভব যে এ ধরনের শব্দ ব্যবহার করা হয় কোনো রকম বিচার বিশ্লেষণ ছাড়াই। অন্যথায় সন্তোষজনক বা কার্যকরী প্রত্মতাত্ত্বিক পুননির্মাণে অনেকটাই অস্পষ্টতা থেকে যায়। বিজ্ঞান ও প্রত্মতাত্ত্বিক সূত্র উল্লেখ ব্যতীত ইংরেজ পাঠকদের কানে এ ধরনের লেখা গ্রহণীয় করা তেমন সম্ভব হয়ে ওঠে না।
থাইল্যান্ডের কবিতা :: ভাষান্তর : মাসুদ খান
অঙ্গকরণ কল্যাণাপং (১৯২৬-২০১২)। কবি ও চিত্রশিল্পী। তাঁর সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ও শিল্পী। জন্ম থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় নাখোন সি তাম্মারাত প্রদেশে। শিল্পকরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক– চিত্রকলা, স্থাপত্য ও গ্রাফিক আর্টসে, আধুনিক থাই চিত্রকলার জনক শিল্প বীরশ্রী-র অধীনে। লেখালিখির শুরু গত শতকের ৫০-এর দশকের শেষ দিক থেকে। প্রথম-প্রথম সমালোচিত হন খুব– কবিতার প্রচলিত প্রথা ভাঙার অপবাদে, অপ্রথাগত ভাষা ব্যবহারের অপবাদে। তাঁর বহুল-আলোচিত গ্রন্থ ‘পানিতান কাউয়ি’ (কবির শপথ)-এর জন্য পান সাউথ-ইস্ট এশিয়া রাইট অ্যাওয়ার্ড, ১৯৮৬ তে। বইটিতে কবি ও কবিতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন এভাবে: “কবির প্রতিটি হৃৎস্পন্দনে থাকবে কবিতা। কবিরা হলেন আসমান ও জমিনের প্রকৃত উত্তরাধিকারী। কবিতা হলো কবির শ্বাসপ্রশ্বাসের মতো”। জাতীয় শিল্পী (সাহিত্য) সম্মানে ভূষিত হন ১৯৮৯ তে। তাঁর শেষদিকের কিছু লেখা ছিল রাজনীতি-প্রাণিত। ভেতরে-ভেতরে ভাগ হয়ে যাওয়া থাইল্যান্ডের গভীর সঙ্কট প্রতিফলিত হয়েছে সেসব লেখায়। চিত্রশিল্পী হিসাবেও বিখ্যাত তিনি। উঁচুমানের বেশ কিছু শিল্পকর্ম রয়েছে তাঁর।]
Read More »তিনটি প্যারাবল :: ভাষান্তর : বদরুজ্জামান আলমগীর
বাইবেলের ল্যুক চ্যাপ্টারে আমরা প্রথম প্যারাবলের দেখা পাই। আদিতে নৈতিকতা শিক্ষা দেবার একধরনের গল্প ছিল প্যারাবল- অনেকটাই ফেবলের জ্ঞাতি ভাই। কালক্রমে প্যারাবল অনেক অদলবদল, অভিজ্ঞান ও দার্শনিক মোকাবেলা সঙ্গে নিয়ে আজ এক পরিপূর্ণ, পরিপক্ক মাধ্যম হিসাবে উঠে এসেছে। শুরুতে প্যারাবল ধর্মীয় নৈয়ায়িকতার নিশ্চিদ্র অঞ্চলে বাস করতো; ফলে তার সঙ্গে থিয়োলজিক্যাল জ্ঞানবত্তার কোনো তফাৎ ছিল না, কিন্তু এখন প্যারাবল প্যারাডক্স ডিল করতে জানে, পলেমিকস আহবান করে, এমনকী ধর্মীয় চৈতন্যের বিপক্ষ দার্শনিক ঘরানা তৈরি করতেও দ্বিধা করে না; সে আজকাল সহসা বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকাণ্ড বিনির্মানেও ব্রতী হয়।
শেরম্যান অ্যালেক্সি’র কবিতা :: অনুবাদ : আল ইমরান সিদ্দিকী
শেরম্যান অ্যালেক্সি নেটিভ অ্যামেরিকান কবি ও ঔপন্যাসিক। তার জন্ম ৭ অক্টোবর, ১৯৬৬ সালে ওয়াশিংটনের একটি ইন্ডিয়ান রিজার্ভেশনে। তিনি ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যামেরিকান স্ট্যাডিজে গ্রাজুয়েশন করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলি হলো ফেস(২০০৯), ওয়ান স্টিক সং (২০০০), দ্য ম্যান হু লাভস স্যালমন (১৯৯৮), দ্য সামার অব ব্লাক উইন্ডো(১৯৯৫) ইত্যাদি। তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘দ্যা বিজনেস এন্ড ফ্যান্সি ড্যান্সিং’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২সালে। কবিতার পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও গল্পসংকলন প্রকাশ করেছেন। তিনি ওয়াশিংটন স্টেট আর্টস কমিশন এন্ড ন্যাশনাল এন্ডোমেন্ট ফর দ্য আর্টস থেকে কবিতা-ফেলোশিপ এবং লিলা ওয়ালেস-রিডারস ডাইজেস্ট থেকে রাইটার্স অ্যাওয়ার্ড পান। এছাড়া তিনি গ্রান্টা ম্যাগাজিন থেকে স্ট্রেঞ্জার জিনিয়াস অ্যাওয়ার্ড, বোস্টন গ্লোব-হর্ন বুক অ্যাওয়ার্ড, পুশকার্ট পুরস্কার, পেন/মালামুদ পুরস্কার পেয়েছেন তাঁর কাজের স্বীকৃতস্বরূপ।
লুইস গ্লাক’র কবিতা :: ভাষান্তর : লায়লা ফারজানা
নোবেল বিজয়ী লুইস গ্লাক’র জন্ম ১৯৪৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে। কিন্তু বেড়ে ওঠেন নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ডে। তিনি ১৯৬১ সালে জর্জ ডব্লিউ হাই স্কুল, হিউলেট, নিউ ইয়র্ক থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। পরবর্তীতে তিনি সারাহ লরেন্সে কলেজ ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। বর্তমানে তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। লুইস গ্লাক তাঁর ‘ওয়াইল্ড আইরিস’ কবিতা-গ্রন্থের জন্য ১৯৯৩ সালে পুলিৎজার প্রাইজ পান। তিনি পুলিৎজার প্রাইজ’র পাশাপাশি ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস সার্কেল অ্যাওয়ার্ড, দ্য একাডেমি অব অ্যামেরিকান পোয়েট’স প্রাইজসহ বেশ কিছু পুরস্কারে ভূষিত হন। অবশেষ ২০২০ সালে সাহিত্য নোবেল পুরস্কার পান তিনি। নোবেল-কমিটি তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘”Her unmistakable poetic voice that with austere beauty makes individual existence universal”। লুইস গ্লাকের কবিতা মূলত আত্মজৈবনিক। ব্যক্তিগত হতাশা, আশা-আকাঙ্ক্ষা, সাফল্য-ব্যর্থতা, নিঃসঙ্গতা ধ্রুপদী মিথের সাথে মাখামাখি হয়ে ধরা দিয়েছে তাঁর কবিতায়। লুইস গ্লাকের কবিতার বইয়ের সংখ্যা মোট এগারটি। তন্মধ্যে ’দ্য সেভেন এইজ’ , ’ভিটা নোভা’ ও ‘এভেরনো’ উল্লেখযোগ্য। কবিতার পাশাপাশি ‘প্রুফস এন্ড থিওরিস’, ‘এসেস অন পোয়েট্রি’ তাঁর বহুল আলোচিত গদ্যসংগ্রহ।
ট্রেসি কে. স্মিথ’র কবিতা :: অনুবাদ : আল ইমরান সিদ্দিকী
ট্রেসি কে. স্মিথ’র জন্ম ১৯৭২ সালের ১৬ এপ্রিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে। কিন্তু, তিনি বেড়ে ওঠেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি ‘পোয়েট লরিয়েট অফ দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ হিসেবে কাজ করেছেন । স্মিথ পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি ১৯৯৪ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৯৭ সালে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ে এমএফএ অর্জন করেন। স্মিথ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এ যাবৎ তাঁর প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা চারটি। ‘লাইফ অন মার্স’ নামক কবিতার বইয়ের জন্য তিনি ২০১১ সালে পুলিৎজার প্রাইজ পেয়েছেন।
Read More »গ্রেগরী পার্ডলো’র কবিতা:: অনুবাদ: লায়লা ফারজানা
গ্রেগরী পার্ডলো’র জন্ম ১৯৬১ সালের ২৪ নভেম্বর, ফিলাডেলফিয়ায়, কিন্তু বেড়ে ওঠেন নিউ জার্সির উইলিংবোরোতে। ২০০৭ সাথে প্রকাশিত তাঁর ‘টোটেম’ নামক কবিতার বইয়ের জন্য তিনি এপিআর/ হনিকম্যান ফাস্ট বুক প্রাইজ পান এবং ২০১৪ সালে প্রকাশিত ‘ডাইজেস্ট’ নামক কবিতার বইয়ের জন্য পান পুলিৎজার পুরস্কার । ২০১৭ সালে পার্ডলো গুগেনহাইম ফেলোশিপ-এ ভূষিত হন। বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে বসবাস করেন এবং নিউ জার্সির রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে(ক্যামডেন), এমএফএ প্রোগ্রামে শিক্ষকতা করছেন। অতীতে তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তাঁর কবিতা পড়তে গিয়ে পাঠক বারেবার হোঁচট খেতে পারেন, কারণ, কবিতার শব্দ নির্বাচন ও বাক্যগঠনে তিনি অত্যন্ত বেপরোয়া, পরিমার্জনায় তেমন আস্থাশীল নন, বরং একেই তিনি তাঁর কবিতার প্রাণ মনে করেন। আরেক বিখ্যাত কবি সাইরাস ক্যাসল্স পার্ডলো’র কবিতা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, “Pardlo is a modern griot and shape-shifter, a Prospero of unforced allusion: an up-for-anything Pardlo poem can deftly evoke sociology, jazz, lofty philosophy, African-American lit, Russian cinema, Greek mythology, European travel, film noir, hip hop, and a host of other topics.”